প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া যদি মুক্ত থাকতেন, তবে শেখ হাসিনার জন্য তা হতো বড় ধরনের রাজনৈতিক হুমকি এবং দেশের মানুষের জন্য মুক্তির সুযোগ। তাই আওয়ামী লীগ তাকে বন্দি করে রেখেছে।
আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪টায় বরিশাল নগরীর সদর রোডে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত মৌন মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তিনি সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা রেখেছেন।
সরকারের ভেতরে থেকে কেউ যদি গত ১৬ বছর ধরে চলা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার নির্দেশেই গোপালগঞ্জে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, পাশের দেশ থেকে বাংলাদেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সম্মিলিত আন্দোলনের প্রয়োজন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এককভাবে গণতন্ত্র অর্জন সম্ভব নয়। অসৎ উদ্দেশ্যে বিএনপি এবং তারেক রহমানকে নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। খুলনায় বিএনপির এক নেতাকে গুলি করে হত্যার পর তার রগ কেটে ফেলা হয়েছে। কারা এমন নৃশংসতা চালায়, তা জনগণ জানে।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও মূল লক্ষ্য—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়—সবার একসঙ্গে থাকা জরুরি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক। এতে আরও বক্তব্য দেন বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান এবং সাবেক সংসদ সদস্য মেজবা উদ্দিন ফরহাদ।
সমাবেশ শেষে একটি মৌন মিছিল বের হয়, যা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।