প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
For all latest news, follow The Financial Express Google News channel.
কক্সবাজারের চকরিয়া থানা হাজতে দুর্জয় চৌধুরী (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলছে এটি আত্মহত্যা।
দুর্জয় চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম চেকসহ নগদ ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্জয়ের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন। পরবর্তীতে স্কুল সভাপতি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেবের নির্দেশে তাকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। পরিবার অভিযোগ করেছে, প্রধান শিক্ষক নিজেই দুর্জয়কে থানায় এনে হস্তান্তর করেন এবং তাকে হাজতে রাখার জন্য চাপ দেন।
পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে দুর্জয় নিজের পরনের শার্ট গলায় পেঁচিয়ে হাজতের দরজার গ্রিলে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। শুক্রবার সকালে অন্য আসামিকে হাজতে আনার পর তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেবের উপস্থিতিতে সুরতহাল তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
থানা হাজতে আত্মহত্যার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটি দেখে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন এটি আত্মহত্যা নয়, বরং হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে জেলা পুলিশ সুপারের অনুমতি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে পুলিশের কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে আমরা অভিযানে ছিলাম। সকালে হাজত থেকে দুর্জয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।