প্রায় 1.0 মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে এবং তারা গত আগস্ট থেকে এ দেশে বসবাস করছে। আমাদের সরকার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় তাদের খাদ্য ও বাসস্থান দিয়ে আসছিল। যেহেতু বনের খরচে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য খোলা জায়গা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ইতিমধ্যে পরিবেশের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
যেহেতু বন সংরক্ষণের দায়িত্ব সরকারের, তাই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব কোনো এলাকা থেকে বন উচ্ছেদ করে উন্মুক্ত জমি তৈরির কোনো প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার জন্য। আমাদের জমি সীমিত এবং জনসংখ্যা ইতিমধ্যেই বেশ বেশি। বন উজাড় করা হলে তা আমাদের পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এখন যেমন ঘটছে, রোহিঙ্গারা কক্সবাজার অঞ্চলে গাছ কেটে ঘরবাড়ি তৈরি ও খাবার রান্নার জন্য কাঠ সংগ্রহ করছে। এই অঞ্চলের পরিবেশের জন্য হুমকি হওয়ার পাশাপাশি, বন উজাড় করা সেখানে বসবাসকারী অনেক পাখিকেও হুমকির মুখে ফেলবে যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য। গৃহস্থালির বর্জ্য নির্বিচারে নিষ্পত্তির মাধ্যমে আশেপাশের জলের ক্রমাগত দূষণের সমস্যাও অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্বেগকে উত্থাপন করেছে। আ আমি চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে তার ভালো অফিসগুলোকে ব্যবহার করুন।
সুমন কুমার পাল
DVM (PSTU)
গ্রাম: নৈহাটি; P.S: রূপশা
জেলাঃ খুলনা
[email protected]