Bangla
a year ago

আজ বললে কালই অভ্যুত্থান হয় না, সময় লাগে: মান্না

Published :

Updated :

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন ধাপে ধাপে চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার কথা বললেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে নামা গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বুধবার ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

ডাকসুর দুই বারের ভিপি মান্না বলেন, “কতগুলো বিভ্রান্তি আমি দূর করতে চাই। এরকম না আপনি আজকে বললেন, কালই একটা অভ্যুত্থান হয়ে গেল। আন্দোলনও গড়ে তুলতে হয়। আন্দোলনকে ধীরে ধীরে তার পরিণতিতে নিজের জায়গায় নিতে হয়। সেটা হয়ত একদিনে হয় না।”

তখন কী রকম হয় কর্মসূচি! রিপিটেশন হয়। আজকে যে কর্মসূচি করি, হয়ত ১০ দিন পরে একই কর্মসূচি থাকে। কিন্তু সেই কর্মসূচির থেকে আজকের চাইতে বেশি দৃঢ়তা, আরও বেশি জঙ্গিত্ব, লড়াকু মনোভাব থাকে।

এদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের পর আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি দেয় গণতন্ত্র মঞ্চ। বিএনপিও একই কর্মসূচি দিয়েছে।

মান্না বলেন, “আমরা বলতে চাই, আমাদের কর্মসূচি চলবে। ৪ তারিখ আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করব। ওই যে বলেছি, এই দিনকে নিয়ে যাব সেই দিনের কাছে- যেদিন আমাদের বিজয়ের দিন। আমি মনে করি এই বছর এই সরকারের পতন হবে।

তার ভাষ্যে, তাদের এই আন্দোলন কেবল এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে বসানোর লড়াই নয়।

আমরা মানুষের ভাগ্য বদলের লড়াই করছি, আমরা দেশ বদলের লড়াই করছি, প্রশাসন বদলের লড়াই করছি। আমরা এদেশকে একটা উন্নত দেশ বানাতে চাই, এজন্য ১৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এই ১৪ দফার ভিত্তিতে ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ হবে।

সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ইশতেহার কী হবে, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, স্বল্প সময়ে তা ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার পাস হওয়া সর্বজনীন পেনশন বিলের বিষয়ে তিনি বলেন, “সরকার দেশ চালাতে পারছে না। সবার জন্য আপনারা (সরকার) একটা সর্বজনীন বীমার ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন। ১০ বছর মানুষ টাকা সেখানে জমা দেবে। তারপরে আপনারা দেবার ব্যবস্থা করবেন। কইয়ের তেল দিয়ে কই ভাজার ব্যবস্থা আপনারা চালু করছেন।

মোমিনুল ইসলামের সঞ্চলনায় সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, বাংলাদেশ ভাসানী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসিব উদ্দিন হাসান, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিরাজ মিয়া, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের আবু হাসান রুবেল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান বক্তব্য রাখেন।

এদিন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একই কর্মসূচি পালন করে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।

এতে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্কসবাদী-লেলিনবাদী) সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের হারুন আল রশিদ বক্তব্য দেন। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচি শেষ করে।

Share this news