Bangla
2 years ago

পি কে হালদারকে আমরা নিয়ে আসব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

Published :

Updated :

বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগে ফেরারী পি কে হালদার ভারতে ধরা পড়েছেন।

পি কে হালদারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “বিষয়টা আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে পারবেন। আমি ডিটেইল জানি না। আমি খবরে দেখেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে ভালো হবে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পি কে হালদারের গ্রেপ্তারের বিষয়টি তারা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি। যেহেতু এ দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাকে আমরা নিয়ে আসব।”

তবে পি কে হালদার আটক হওয়ার কোনো খবর ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি বলে জানান তিনি। তার ভাষ্যে, আনুষ্ঠানিকভাবে জানলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনও বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর তারা ‘অ্যাকশন’ নেবেন।

বাংলাদেশে ফেরত আনার পরের প্রক্রিয়া নিয়ে দুদকের কৌঁসুলি খুরশীদ বলেন, “সমর্পণ করা হলে তাকে (পি কে হাওলদার) আদালতে উঠানো হবে। তখন দুদকের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে। আদালত তার আইন অনুযায়ী নিজস্ব যে অর্ডার দেবে দুদক সেই মোতাবেক কাজ করবে।”

তিনি জানান, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে ডে ৩ ডজন মামলা আছে, প্রত্যেকটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

“সে ধরা পড়েছে, এটা আমাদের জন্য বিশেষ সুখবর। কারণ ইনভেস্টেগেশনের জন্য যেসব পেনডিং আছে, সেগুলো অনেক সহজতর হয়ে যাবে এই কারণে যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একটা সুযোগ তৈরি হল।”

পি কে হালদারের সঙ্গে তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা এবং তার ভাইও পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে খবর এসেছে।

তবে গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আনুষ্ঠানিক কোনো ভাষ্য শনিবার বিকাল পর্যন্ত আসেনি।

ইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানায়, পি কে হালদার ভুয়া তথ্য-পরিচয় এবং ‘রেশন কার্ডে’র মতো জাতীয় কার্ড ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিকত্বও নিয়েছিল শিবশংকর হালদার নামে। ভারতীয় পরিচয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হন। 

ইডি পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা, প্রীতিশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার এবং তাদের সহযোগীদের নামে থাকা বাড়ি ও সম্পত্তিতে অভিযান চালায়।

সুকুমার মৃধা আগে থেকেই বাংলাদেশে গ্রেপ্তার রয়েছেন; তিনি পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী এবং তার অর্থ দেখভাল করতেন।

Share this news