Published :
Updated :
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী জুলাই মাস থেকে মাসিক ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। এ ছাড়া তারা সরকারি মেডিকেল হাসপাতালে আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন। একই সঙ্গে পুনর্বাসনের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ, চাকরিতে অগ্রাধিকার এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগও নিশ্চিত করা হবে।
আহতদের তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন যেসব যোদ্ধা গুরুতর আহত হয়ে একা চলাফেরা করতে অক্ষম (যেমন—দু’চোখ অন্ধ বা বড় অঙ্গহানি হয়েছে)। তারা মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা, এককালীন ৫ লাখ টাকা (২ লাখ ইতিমধ্যে পেয়েছেন), এবং বিদেশে চিকিৎসার সুযোগসহ পরিচয়পত্র ও পুনর্বাসনের সুবিধা পাবেন। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে যারা এক চোখ বা এক পা হারিয়েছেন বা আংশিক সহায়তায় চলতে পারেন, তারা মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা, এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে যারা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছেন, তাদের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৪২ জন। তারা মাসে ১০ হাজার টাকা ও এককালীন ১ লাখ টাকা পেয়েছেন।
৮৩৪ জন ‘জুলাই শহীদ’-এর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা (১০ লাখ ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে), মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা এবং চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন। এ পরিবারগুলোর জন্য জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে অর্থ দেওয়া হচ্ছে।
জুলাই যোদ্ধাদের স্বার্থে একটি আলাদা অধিদপ্তরও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই অধিদপ্তরে ২০ জন কর্মকর্তা এবং একজন অতিরিক্ত সচিব নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৭ জন আহত যোদ্ধাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। শহীদদের পরিবারের মধ্যে যারা ওয়ারিশ জটিলতায় রয়েছেন, তাদের অর্থ প্রদানে দেরি হলেও দ্রুত সমাধান হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি আরও জানান, ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে জাতীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখাবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।