Bangla
2 years ago

চট্টগ্রামে বাস উধাও, সিএনজির গাড়িতেও বাড়তি ভাড়া

চট্টগ্রাম টাইগারপাস এলাকার সড়কে বাস নেই।
চট্টগ্রাম টাইগারপাস এলাকার সড়কে বাস নেই।

Published :

Updated :

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর চট্টগ্রাম নগরীতে বাস উধাও হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। এই সুযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টেম্পুও ভাড়া বেশি নিচ্ছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

শনিবার থেকে জ্বালানি তেলের বাড়তি দাম কার্যকর হয়েছে। বাসের জ্বালানি ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা হয়েছে। ছোট গাড়ি ও মোটর সাইকেলের জ্বালানি পেট্রোল ও অকেটেনের দাম যথাক্রমে বেড়েছে ৪৪ ও ৪৬ টাকা।

শুক্রবার রাতে তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পরপরই চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে মালিকরা।

রাতেই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে শনিবার সকাল থেকে নগরীতে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মালিকপক্ষ।

কিন্তু এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বাস মালিকরা দাবি করলেও সকাল থেকেই সড়কে বাস কম। আবার বাস শ্রমিকরা অন্য গণপরিবহন চলাচলেও বাধা দিতে থাকে।

বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বাদামতলী মোড়ে পরিবহন শ্রমিকরা গণপরিবহন চলাচলে বাধা দিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। নগরীর নিমতলা বিশ্বরোড মোড় এলাকাতেও শ্রমিকরা বাস চলাচলে বাধা দেয়।

নগরীর মোড়গুলোতে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে লোকজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। দুয়েকটি যানবাহন এলেই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল।

টাইগার পাস মোড় থেকে নিউ মার্কেটগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল ২০টাকা। অন্যদিন এই পথে বাসে ৭-৮ টাকায় চলাচল করেন যাত্রীরা। আর সিএনজিচালিত টেম্পু ভাড়া দাবি করে ১০ টাকা করে। আগে এই ভাড়া ছিল ৫টাকা।

টাইগার পাস মোড়ে নগরীর ইপিজেডসহ কয়েকটি গন্তব্যের দুয়েকটি বাস চলাচল না করে সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখতে দেখা গেছে। বাসের সহকারীরা জানান, ভাড়া নিয়ে সমস্যা এবং তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন।

এখানে তরিকুল আলম নামের এক যাত্রী বলেন, “রাতে কখন তেলের দাম বাড়িয়েছে সেটা জানিও না। সকালে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি এই অবস্থা। বাস বলতে গেলে নেই। গাড়ি যাও আছে তারা আমাদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে।”

বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বাদামতলী মোড়ে পরিবহন শ্রমিকরা গণপরিবহন চলাচলে বাধা দিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। নগরীর নিমতলা বিশ্বরোড মোড় এলাকাতেও শ্রমিকরা বাস চলাচলে বাধা দেয়।

নগরীর মোড়গুলোতে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে লোকজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। দুয়েকটি যানবাহন এলেই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল।

টাইগার পাস মোড় থেকে নিউ মার্কেটগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল ২০টাকা। অন্যদিন এই পথে বাসে ৭-৮ টাকায় চলাচল করেন যাত্রীরা। আর সিএনজিচালিত টেম্পু ভাড়া দাবি করে ১০ টাকা করে। আগে এই ভাড়া ছিল ৫টাকা।

টাইগার পাস মোড়ে নগরীর ইপিজেডসহ কয়েকটি গন্তব্যের দুয়েকটি বাস চলাচল না করে সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখতে দেখা গেছে। বাসের সহকারীরা জানান, ভাড়া নিয়ে সমস্যা এবং তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন।

এখানে তরিকুল আলম নামের এক যাত্রী বলেন, “রাতে কখন তেলের দাম বাড়িয়েছে সেটা জানিও না। সকালে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি এই অবস্থা। বাস বলতে গেলে নেই। গাড়ি যাও আছে তারা আমাদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে।”

নগরীর দেওয়ানহাট মোড়ে অপেক্ষমান সিএনজি চালক কালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর বলেন, “অনেকক্ষণ ধরে যাত্রীর জন্য দাঁড়াই আছি। গাড়ি নাই তবু যাত্রীরা সিএনজিতে উঠতে চায় না।”

দেওয়ানহাট মোড়ে গণপরিবহনের জন্য যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “রাতে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শনিবার দিনের বেলায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধের বিষয়ে কিছু বলিনি।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস মালিক জানান, সমিতির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বাস মালিকরা তাদের চালক ও শ্রমিকদের গাড়ি চালাতে নিষেধ করেছেন। তেলের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। তাই আগের ভাড়ায় গাড়ি চালালে, অনেক লোকসান হবে। একারণে মালিকরা নিজেরাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন শনিবার সকলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গভীর রাতে তেলের দাম বাড়িয়েছে। সারাদিন গাড়ি চালানোর পর রাতে চালক-সহকারীরা তেল নেয়। তেলের দাম বাড়ানোর পর পাম্পে গিয়ে দেখে সেগুলো বন্ধ। তাই তেল পায়নি।

“একারণে সকালে চালক-সহকারীরা গাড়ি বের করেনি। বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মালিকরা নিজ উদ্যোগে গাড়ি বন্ধ করেছে। আমরা কিছু বলিনি। পেটের খিদা সবারই এক। নতুন ভাড়া ঠিক না হলে, কেউ সেভাবে গাড়ি চালাতে পারবে না।”

চট্টগ্রাম মহানগর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের অধীনে ৬০০টির মত বাস-মিনিবাস ও হিউম্যান হলার চলাচল করে। নগরীতে ৭টির মত মালিক সংগঠনের অধীনে মোট ৩৫০০ গণপরিবহন চলে।

নগরীর অলঙ্কার মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার গন্তব্যে বাস ছেড়ে যাচ্ছে।

আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বাস ভাড়া বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আমাদের গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক আছে।”

Share this news