Bangla
2 years ago

জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এভারকেয়ার হাসপাতালে

Published :

Updated :

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।

তিনি এখন রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ছেলে বর্ষণ ইসলাম জানান।

তিনি বলেন, বাবা ‘ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’ আছেন। নিউমোনিয়ার সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।

“ঠাণ্ডা লাগাতে এখন এইচডিইউতে পাঠানো হয়েছে। ভ্যান্টিলেশন দিতে চেয়েছিল, আমরা এলাও করি নাই। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছে, এখন একটু বেটার।”

পেটের ব্যথা নিয়ে গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে পানি ধরা পড়ে। তখন থেকে তিনি সেখানেই বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেনের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা রফিকুল ইসলামকে ভারতে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি রাজি হননি।

চারদিন আগে রফিকুল ইসলামকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় জানিয়ে বর্ষণ বলেন, “এখানে এনে একটা টেস্ট করতে গিয়ে সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। ভালো করতে গিয়ে খারাপ হয়ে গেছে। আগে থেকে অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু শ্বাসকষ্টের তেমন সমস্যা ছিল না। নিউমোনিয়া প্রবলেমটা এখন ক্রিটিক্যাল।”

চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দিল্লি যেতে রাজি নন তিনি। এভারকেয়ারেও আসতে চাননি। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলেই চিকিৎসা নিতে চেয়েছিলেন।

নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক ছিলেন।

৮৭ বছর বয়সী এই ভাষাবিজ্ঞানী, লেখক ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেই সময়ের দুর্লভ আলোকচিত্রও ধারণ করেন তিনি।

বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী সেইসব ইতিহাস গ্রন্থিত করেছেন তার লেখায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ প্রায় ৩০টি বই তার হাত দিয়ে এসেছে।

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের সাবেক উপাচার্য রফিকুল ইসলাম এক সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সালে সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক করে নেয়।

স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, গবেষক ও লেখক ড. রফিকুল ইসলাম বেশ কয়েকটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপালন করেছেন।

২০২১ সালের ১৮ মে সরকার তাকে তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব দেয়।

এই বছর মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদান রাখায় তাকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ দেওয়া হয়।

 

Share this news