Bangla
3 years ago

বসিলা সেতু ভাঙার ভাবনা

Published :

Updated :

রাজধানীর কেরানীগঞ্জের বসিলা সেতু ভেঙ্গে উচ্চতা বাড়িয়ে নতুন করে তৈরির কথা ভাবছে সরকার।

বিষয়টি বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকের পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে এ কথা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ-পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় এসব কথার অবতারণা হয়। প্রধানমন্ত্রী এটি আগেও বহুবার বলেছেন, (আজ) আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, যে আমরা কালভার্ট, সেতু তৈরি করতে গিয়ে নৌপথ অচল করে ফেলেছি।”

তিনি বলেন, “আপনারা জানেন বসিলা সেতুটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর ওপর হয়েছে। এত গুরুত্বপূর্ণ নদী কিন্তু এখানে এখন বর্ষাকালে কার্গোগুলো আসতে পারে না। ২০০৮ সালে উদ্বোধন করা এই সেতুটি এখন আবার ভাঙার কথা চিন্তা করা হচ্ছে, এটা যথাযথ উঁচু করার জন্য। এটা তো জাতীয় অপচয়।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে এই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পণ্যবাহী নৌকাসহ বিভিন্ন নৌকা যেন চলাচল করতে পারে এমন উঁচু করে সেতু তৈরি করতে হবে। আমাদের জোয়ারভাটার দেশ, পানি বাড়ে কমে। তাই প্রয়োজনে বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি নিয়ে এটা সতর্ক হয়ে করতে হবে।“

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আরও কয়েকটি নির্দেশনা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার সময় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্দেশে বলেছেন, এখন থেকে নতুন রাস্তাঘাট বা রাস্তার ওপর ইউলুপ এবং আন্ডারপাস-ওভারপাস এমনভাবে বানাবেন যাতে যানবাহন এবং সাধারণ মানুষ খুব সহজে চলাচল করতে পারে। মানুষ যেন সহজে রাস্তা পার হতে পারে।


“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সম্প্রতি বিদেশ থেকে প্রায় ৫ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃজনে সহায়ক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের জন্য যেন শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়। তারা আমাদের অনেক দিয়েছেন। এবার আমরা তাদের কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই। প্রয়োজেন যারা আবারও বিদেশ যেতে চায় তার ব্যবস্থা করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।”

মন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে মহিলাদের জেলা পর্যায়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের সময় এ ধরনের প্রকল্প আরও করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে প্রকল্প না নিয়ে এটি রাজস্ব খাতে দিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন। যাতে প্রতিবছর বাজেটে এই খাতের জন্য বরাদ্দ রাখে। আর একবছর বা দুই বছর পর পর যেন তারা না আসে।”

“এ জন্য কার্যকর মহিলা সংস্থা হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী,” বলেন মন্ত্রী।

এমন এ মান্নান বলেন, “বৈঠকে ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পনগরী শীর্ষক প্রকল্পে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কথা বলা হলেও দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই প্রকল্পে দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ যোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

“প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন মুন্সিগঞ্জে অনেক বালু মহাল গড়ে উঠেছে। এই বালু পরিকল্পিতভাবে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে যেভাবে পারে বালুর ব্যবসা শুরু করে দেবে, এটা ঠিক নয়।”

Share this news