Bangla
8 months ago

২০২৫ অর্থবছরের জন্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

Published :

Updated :

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ৫৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন (৫ হাজার ৭৫০ কোটি) মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয় লক্ষ্য নির্ধারণ করছে। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে ৫০ বিলিয়নে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রবিবার ( সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য বিভাগ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার পাশাপাশি অতীতের রপ্তানি-আয়ের পরিসংখ্যানের সংশোধনী প্রকাশ করে। 

ইপিবি ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির মধ্যে ৪০ দশমিক ৪৮ বিলিয়নই আশা করছে তৈরি পোশাক খাত থেকে এবং এক্ষেত্রে ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করছে।

রাষ্ট্রীয় রপ্তানি উন্নয়ন সংস্থা গত অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় সংশোধন করে। সংশোধনের পর এ অঙ্ক দাঁড়ায় ৪৪ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের আয় থেকে দশমিক ২২ শতাংশ কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইবিপি প্রকাশিত রপ্তানি পরিসংখ্যানে বড় গড়মিল আবিস্কারের তিন মাস পর ৮ সেপ্টেম্বর অর্থ বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বাণিজ্য পরিসংখ্যান বিষয়ক এক বৈঠকে ইপিবি পরিসংখ্যান সংশোধন করলো। গত জুন থেকে সংস্থাটি রপ্তানি তথ্য প্রকাশে বিরত রয়েছে। 

অসঙ্গতিগুলো চিহ্নিত করার আগে, ইপিবি বিগত ২০২৩-২৪ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য যথাক্রমে ৫৫ দশমিক ২৮ বিলিয়ন এবং ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেছিল। সংস্থাটির নতুন হিসাবে দেখা যায়, গত দুই অর্থবছরে রপ্তানি মোট আয় প্রকৃত আয়ের চেয়ে ১৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি দেখানো হয়েছিল।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "আমরা চলতি অর্থবছরে রপ্তানি-প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১২ শতাংশ নির্ধারণ করেছি এবং এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

সময় তিনি আরও বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। এক বা দুটি পণ্যের উপর নির্ভরতা কমাতে অন্যান্য বিভিন্ন সম্ভবনাময় খাতকে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

সূত্র বলছে, সরকার পরিসেবা খাত থেকেও দশমিক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা চলতি অর্থবছরের শেষে সামগ্রিক আয় ৫৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করবে। 

সভায় যোগদান করা একটি সূত্র বলছে, গত দুই অর্থবছরের যেসব আয় একাধিকবার এন্ট্রি করা হয়েছিল, তথ্য সংশোধন করতে সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।

ইপিবির সংশোধিত তথ্য অনুসারে, তৈরি পোশাক খাত গত অর্থবছরে ৩৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। এ ক্ষেত্রে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয় ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে এর আগে এ খাত থেকে ওই অর্থবছরে আয় দেখানো হয়েছিল ৩৮ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এছাড়া চামড়া চামড়াজাত পণ্যের আয় গত অর্থবছরে ১১ দশমিক শতাংশ হ্রাস পেয়ে দশমিক ০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। পাট পাটজাত পণ্য থেকে আয় আগের বছরের তুলনায় দশমিক ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে হয় ৮৫৫ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জীবিত হিমায়িত মাছেরন ক্ষেত্রে আয় গত অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন সময়ের মধ্যে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩৭৬ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়।

তবে ইপিবির তথ্য অনুসারে, কৃষি খাতে গত অর্থবছরে ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। 

munni_fe@yahoo.com

Share this news