আওয়ামী লীগের বিচার আগামী ১০০ বছর ধরে চলতেই থাকবে: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
Published :
Updated :
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যত পাপ করেছে, আগামী ১০০ বছর সেই বিচার চলতেই থাকবে। সংস্কার আর বিচার শেষ না করে নির্বাচন না দিলে তাহলে আগামি ১০০ বছরেও আপনার নিয়ত নাই বাংলাদেশে নিবাচন হোক। আওয়ামী লীগ নাই, তাই বলে আগামি নির্বাচন সহজ হবেনা। এর কারণ হলো আগে ছিল দৃশ্যমান প্রতিপক্ষ আর এখন প্রতিপক্ষ হয়েছে অদৃশ্য।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে যেমন ষড়যন্ত্র চলছে তেমনি মানুষের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র যারাই করছে তারা বিএনপির প্রতিপক্ষ, তারাই বাংলাদেশবিরোধী প্রতিপক্ষ। বিএনপি গত ১৫ বছর মাটি ছাড়ে নাই, সুতরাং আগামিতেও এক চুল মাটি ছাড়া হবেনা।
কর্মশালার উদ্ধোধনী বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, বিএনপিকে নিয়ে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র চলছে। যারা বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তারা ফ্যাসিবাদের দোসর। তিনি নতুন দলের সমালোচনা করে বলেন, নতুন দল হইছে কিন্তু দলের মুখপাত্র মানুষের সামনে তাদের দলের উদ্দেশ্য বলতে পারেনা। একটি দল গঠন করা প্রয়োজন তাই তারা করেছে। জনগনের আস্থা অর্জন করা সহজ নয়। নতুন দল গঠন করে বিতর্কিত ভুমিকা পালন করছে। জনগণের পক্ষে তাদের কোন ভুমিকা নাই।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকের সভাপতিত্বে ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিএনপি'র চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, জাতীয় নির্বাহী সদস্য ফজলুর রহমান খোকন।
কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৭০০ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে দলের নেতাকর্মীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কর্মশালায় গাইবান্ধাসহ কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবো। শিশুদেরকে মানবিক ও বিশেষ গুণে গুণান্বিত করতে হবে। শিক্ষকরা জাতির মেরুদণ্ড। তাদেরকেও অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করা প্রয়োজন।
কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার চরাঞ্চলের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিএনপির করণীয় সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করবো এবং সমাধানের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করবো। এছাড়া, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, নদী বাঁচাতে আমরা নদী খনন, খাল খনন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হবে।