বাংলাদেশের খবরে ‘ডিজিটাল জার্নালিজম’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
৫০ হাজার সাবস্ক্রাইবার উদযাপন
Published :
Updated :
শেষ হলো বাংলাদেশের খবর আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘ডিজিটাল জার্নালিজম ও প্রযুক্তি ব্যবহার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা। পাশাপাশি কেক কেটে উদযাপন করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির ইউটিউব চ্যানেলে ৫০ হাজার সাবস্ক্রাইবার পূর্তি ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাংলাদেশের খবর কার্যালয়ে এ উদযাপন করা হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপ্তি ও সাবস্ক্রাইবার উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রাচীনতম ব্যবসায়ী পরিবার মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের খবরের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন।
এ সময় তিনি অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন এবং প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য ডিজিটাল সংস্করণের প্রধান হাসনাত কাদীরকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ কর্মীদের দক্ষতা বাড়াবে এবং বাংলাদেশের খবরকে আরও গতিশীল করে তুলবে। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে আমাদের ডিজিটাল সংস্করণকে আরও জোরদার করতে হবে।’
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ভয়েস অফ আমেরিকার ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট ও মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম ট্রেইনার অমৃত মলঙ্গী। দুইদিনের প্রশিক্ষণে তিনি ডিজিটাল সাংবাদিকতার সমকালীন বাস্তবতা, এআই প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্ট টাইপসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণালব্ধ বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ডিজিটাল ইউনিট, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং মাঠপর্যায়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে কাজ করে কিছু কনটেন্ট ধরন শনাক্ত করেছি, যেগুলো সোশ্যাল মিডিয়া রিচে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশের খবর ডিজিটাল এডিশন টিম থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আন্তরিকতা ও আগ্রহ পেয়েছি।’
ডিজিটাল সংস্করণের প্রধান হাসনাত কাদীর বলেন, ‘সাদা চোখে মনে হতে পারে, প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাংবাদিকতাকে সহজ করে দিচ্ছে। বাস্তবে এটি সংবাদকর্মীকে প্রকৃত সাংবাদিকতা করার কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাগুরা গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স) মো. শামসুল আলম, বাংলাদেশের খবরের ডিজিটাল গ্রোথ এডিটর মোহাম্মদ নেসার, কান্ট্রি এডিটর আতাউর রহমান সোহাগ, শিফট ইনচার্জ মেহেদী হাসান শোয়েব, হেড অব প্রোগ্রাম মো. হাসিবুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক (এইচআর, অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স) এস. এম. নজমুদ্দীনসহ সাংবাদিক ও কর্মকর্তারা।