Published :
Updated :
আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার লক্ষ্য নিয়ে শেরপুর পৌরসভা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭৩ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় শেরপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত বাজেট সভায় পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিক খান এই বাজেট পেশ করেন। এবারের বাজেটে উন্নয়নকেন্দ্রিক বরাদ্দকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত 'ক' শ্রেণির এই পৌরসভার আয়তন ১০.৩৯৫ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৬১,১৪১ জন। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, আবাসন, পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থাপনা এবং আধুনিক কিচেন মার্কেট নির্মাণের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পৌরসভার প্রশাসক মোঃ আশিক খান বলেন, "এই বাজেট বাস্তবায়িত হলে শেরপুর পৌরসভা একটি স্মার্ট, পরিচ্ছন্ন ও নাগরিকবান্ধব শহরে রূপান্তরিত হবে।"
তিনি আরও জানান যে, কর বৃদ্ধির পরিবর্তে করের আওতা বাড়িয়ে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক চাপ কমাবে।
এডিপি প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। কোভিড-১৯ রিকভারি প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন, আরও ৩ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রত্যাশা করছে পৌরসভা।
আর ইউ আইটিডিপি প্রকল্পের আওতায় ১৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২.৬ কিলোমিটার রাস্তা, ১১টি ড্রেন এবং ১৩টি লিংক রোড সংস্কারের কাজ চলবে।
আইইউআইডিপি প্রকল্প-৩ এর আওতায় ২৪ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায়।
এছাড়াও, টিআর প্রকল্পের আওতায় শিশু পার্কের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। ৯টি ওয়ার্ডে স্থায়ী ডাস্টবিন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা শহরের পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং ৫ তলা আধুনিক কিচেন মার্কেট উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বারদুয়ারি হাটে ২০টি নতুন দোকান বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন।
বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ৭৩ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব খাত থেকে ৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আসবে এবং বাকি অর্থ সরকারি উন্নয়ন সহায়তা ও বিভিন্ন প্রকল্প অনুদান থেকে সংগ্রহ করা হবে। বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
বাজেট সভায় শেরপুর পৌরসভার প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তা কমিটির সদস্য—উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী,
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস. এম. মঈনুদ্দীন, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ, সমাজসেবা কর্মকর্তা ওবায়দুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন ও পরামর্শ প্রদান করেন, যার উত্তর দেন পৌর প্রশাসক আশিক খান।