Published :
Updated :
বজ্রপাতজনিত প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির রোধে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ মূল্যায়ন এবং অগ্রগতির পর্যবেক্ষণে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও সিকদার মাহমুদ রাজির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।
রিটে বলা হয়, বজ্রপাতে নিহতদের মধ্যে কৃষক ও জেলেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। খোলা মাঠ, হাওর ও গ্রামীণ এলাকায় ঝুঁকি বেশি। বজ্রপাত ২০১৬ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষিত হলেও এখনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। প্রতিবেশী নেপাল ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
রিটে আরও প্রস্তাব করা হয়েছে—সচেতনতা বৃদ্ধি, আগাম বার্তা প্রচার, বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, তালগাছ রোপণ, মোবাইলে এসএমএস পাঠানো, নিরোধক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং লিফলেট বিতরণের মতো পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য।
আদালত মনে করেন, জীবনের অধিকার সাংবিধানিক অধিকার (৩২ অনুচ্ছেদ)। তাই রাষ্ট্রের উচিত জনগণের জীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান।