Published :
Updated :
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালে লরির ভারে স্টিলের সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভালুকা সড়ক ও জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হালিম বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান।
এতে লরির অজ্ঞাতনামা চালককে আসামি করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ওসি মাইন উদ্দিন মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে এনার্জি প্যাকের ট্রান্সফরমারবাহী ৪২ চাকার একটি লরি ময়মনসিংহের কেওয়াটখালি পাওয়ার গ্রিডে যাচ্ছিল। লরিটি ত্রিশালের চেলের ঘাট এলাকার স্টিলের সেতুর উপরে উঠতেই সেতুর মাঝখানের পাটাতন ভেঙে নিচে পড়ে যায়। একইসঙ্গে সেতুর উপর থাকা একটি প্রাইভেটকারও নিচে পড়ে। এতে কারে থাকা ৫ জনের ৩ জন আহত হন।
সেতুটি ভেঙে পড়ায় সরকারের আনুমানিক ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম বলেন, “আইন অনুযায়ী মহাসড়কের ওপর দিয়ে ৪০ টন ওজনের গাড়ি চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। তবে, লরির চালক সড়ক পরিবহনের কোনো আইন না মেনে ও সড়ক বিভাগের কোনো অনুমতি না নিয়ে ১২০ টন ওজনের ট্রান্সফরমার নিয়ে সেতু পার হওয়ায় সেটি ভেঙে পড়ে। এতে সরকারি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং জন দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে।”
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী বলেন, “ট্রান্সফরমার ও লরিটি এখান থেকে সরাতে বড় ক্রেনের প্রয়োজন হবে। এনার্জি প্যাক চট্টগ্রাম থেকে ক্রেন আনার চেষ্টা করছে।”
এতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, “এগুলো অপসারণ করার পর দ্রুত বেইলি ব্রিজ যান চলাচলা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করব। এ ছাড়া এখানে একটি নতুন ব্রিজ করার আবেদন করব। ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও বিষয়টি দেখে গেছেন। তারাও দ্রুতই একটি সিদ্ধান্ত দেবেন বলে আশা করছি।”
দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু হবে জানিয়ে এনার্জি প্যাকের মাঠ কর্মকর্তা ইলিয়াস সরকার বলেন, “দুর্ঘটনায় শুধু আমাদের দায় দেখলে হবে না। অন্য সময়ও আমরা এভাবেই ট্রান্সফরমার নিয়ে যাই। সড়ক ও জনপথ বিভাগ যদি ব্রিজের পাশে সাইনবোর্ড দিয়ে যান চলাচলে টন নির্ধারণ করে দিতো, তাহলে আমাদের পুরোপুরি দায় থাকত।”