Bangla
2 days ago

ঈদে ঢাকা- বগুড়া মহাসড়কে বাইক দাপিয়ে ঘরে ফিরছেন বাইকাররা

Published :

Updated :

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা—বগুড়া মহাসড়কে মোটরসাইকেলে দাপিয়ে ঘরে ফেরা মানুষের সংখ্যা এবার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার দিকে যাত্রা করছেন লাখো মানুষ। মহাসড়ক জুড়ে বাইকের গতি আর শব্দে এক অন্যরকম প্রাণচাঞ্চল্য ফুটে উঠেছে।

বিআরটিএ—র পুরোনো তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল ৩১ লাখের বেশি, যা মোট যানবাহনের প্রায় ৬৮ শতাংশ। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এই সংখ্যা ৪৫—৫০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে বলে অনুমান করা যায়। বগুড়ায় মোটরসাইকেলের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না পাওয়া গেলেও বগুড়া উত্তরবঙ্গের একটি প্রধান বাণিজ্যিক ও যোগাযোগ কেন্দ্র হওয়ায় এখানে বছরে প্রায় ৫ লাখ নতুন মোটরসাইকেল বিক্রির তথ্য বিবেচনা করলে ২০২৫ সালে বগুড়ায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা কয়েক লাখের কাছাকাছি হওয়া সম্ভব।

কথা হয় ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ী ফেরা মোহাম্মদ সেলিম এর সাথে তিনি জানান, ঈদে বাড়ী ফিরতে মোটরসাইকেলই সবচেয়ে সুবিধাজনক। রাস্তায় যানজটে পরতে হয় না। নিরাপত্তা নিয়ে একটু চিন্তা থাকে, তবে আমি চেষ্টা করি ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ী চলতে।

আরেক চালক নাসির উদ্দিন জানান, এবারের ঈদে মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রা করতে গিয়ে একটু উদ্বেগ ছিল, কারণ সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কিছুটা ভয় ছিল। তবে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগে থেকে অনেক ভালো ছিল।

রংপুরগামী মেহেদী হাসানের সাথে কথা হয় ঢাকা—বগুড়া মহাসড়কের শেরপুরে তিনি জানান, মোটরসাইকেলে তেলের খরচ কম লাগে, আর বাসে গেলে দিগুন ভাড়া দিতে হয়। ঈদে বাড়ী গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য মোটরসাইকেলই সেরা বাহন ।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কমাতে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করেছে এবং নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের পরিমাণ বাড়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হচ্ছে। চালকদের হেলমেট পরিধানসহ সড়ক নিরাপত্তার নিয়মগুলো মেনে চলতে বলা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ ২৪ ঘণ্টা সজাগ আছে যাতে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে।

Share this news