ফরিদপুরে অবৈধ বালু - মাটি উত্তোলন: ১০টি ঘর ভেঙে পড়েছে, বাকিগুলো হুমকির মুখে
Published :
Updated :
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পালডাঙ্গি (ধলার মোর) এলাকায় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রায় ১০টি বসতবাড়ি পুকুরের গর্তে ধ্বসে পড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে শহর রক্ষা বাধ সহ ৫-৭ টি ইটের ভাটা, ৩০-৩৫ টি বসতবাড়ি।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার প্রায় ১০ টি বাড়ি ধ্বসে পুকুরে নিমজ্জিত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী পারভীন, মমতাজ, দেলোয়ার, ইরানী ও বদিউদ্দিন জানান, তাদের বসত বাড়ির বাথরুম, রান্নাঘর, টিউবওয়েল ও কয়েকটি থাকার ঘর ধ্বসে গর্তে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে, যেকোন সময় বসত বাড়ির বাকি অংশটুকু পুকুরের গর্তে চলে যেতে পারে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমরা মাটি কাটায় বাধা দিলে আজম গং রা ভয় ভীতি দেখায়, থানাকে অবগত করেছিলাম কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি। বালু ও মাটি উত্তোলনকারী ব্যক্তিরা এতোই শক্তিশালী কেউ ওদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসীরা জানান, যেভাবে বেপরোয়া ভাবে অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে অতিদ্রুত শহর রক্ষা বাধ বিলীন হয়ে যাবে।
ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাউসার জানান, আমি আজমকে মাটি কাটতে নিষেধ করেছি, আজম বলেছে ভেঙে যাওয়া বাড়িগুলো আমি মাটি ফেলে আবার ভরাট করে দিবো।
ডিগ্রীরচর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু জানান, আমি চেষ্টা করেছি অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তোলন বন্ধ করার কিন্তু এরা এতোটাই ধূর্ত ও প্রভাবশালী যে বিভিন্ন সময়ে রাতের আধারে এরা এ মাটি ও বালু উত্তোলন করে। এরা অবৈধভাবে টাকা খরচ করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরণের অবৈধ উত্তোলন রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদার জানান, আমি এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।