ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তির’ প্রভাব: সুন্দরবন উপকূলের মোরেলগঞ্জে রাস্তা ধস, ভোগান্তি চরমে
Published :
Updated :
উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সাগরের সৃষ্ট লগুচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তির’ প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের প্রবল স্রোতে বারইখালী ইউনিয়নে ভরাঘাটা এলাকায় দেড় কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা ভেঙে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি থেকে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দুই গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলে উপযোগী করার।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের বারইখালী গ্রামের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের কার্পেটিং ও ইটসোলিং রাস্তাটি জোয়ারের স্রোতে গত ২ দিন ধরে ভেঙে যাওয়ায় জনচলাচলের দুর্ভোগে পড়েছে দুই গ্রামের ১৫ শ’ পরিবারের মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি থেকে প্রতিদিন একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিক মিয়া মাদ্রাসা, ইব্রাহিম স্মৃতি দাখিল মাদ্রাসায় শত শত শিক্ষার্থী পাঠদানে যাচ্ছেন। এছাড়া ৩টি মসজিদ, কাশ্মির, তুলাতলা সহ উপজেলা শহরে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এদিকে জোয়ারের স্রোতে ভরাঘাটা সাপলা চত্বর থেকে শরীফবাড়ি অভিমুখী ১ কিলোমিটার ইটসোলিং রাস্তাটি বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙে পড়েছে। বারইখালী-ভায়া তেতুলবাড়িয়া হয়ে জিউধরার ডেউয়াতলা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তাটি ভরাঘাটা স্থান থেকে ভেঙে পড়েছে। যাতায়েতে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন। ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
কথা হয় বারইখালী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৃহিণী ফতেমা বেগম, শিক্ষার্থী তুহিন হাওলাদার, মোটরসাইকেল চালক জসিম উদ্দিন, ইব্রাহিম শেখ, আবুল আলা শরীফদের সাথে। তারা বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার এ দু’দিনের জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে হঠাৎ করে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। কোনো মালামাল নিয়ে বাড়ি-ঘরে আসা যাচ্ছে না। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে পাঠাতে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা হচ্ছে। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করে জনসাধারণের চলাচলের পরিবেশ সৃষ্টি করার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি।
এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, গত দু’দিনের অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে যেসব রাস্তা ভেঙে গেছে, সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরিমাপ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। আপাতত ভেঙে যাওয়া স্পটগুলোতে সাময়িক সংস্কার করে জনসাধারণের চলাচলের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে।