খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরের পথে নেতা-কর্মীদের অপেক্ষা

Published :
Updated :

লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
গত জানুয়ারিতে যেভাবে তিনি লন্ডন গিয়েছিলেন, এবারও ঠিক সেভাবেই কাতারের আমিরের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই দেশে ফিরছেন তিনি। সকাল ১০টার দিকে ঢাকায় তার অবতরণের কথা রয়েছে। তার সঙ্গে দেশে ফিরছেন দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি।
ভোর হতেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পিকআপ, বাসসহ নানা বাহনে এসে গান-বাজনা ও স্লোগান দিয়ে বিমানবন্দর সড়কে জমায়েত শুরু করেন। দলের পতাকা, জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে কিংবা মাথায় বেঁধে তারা নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন। ‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’—এমন নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সড়কটি।
নেতাকর্মীদের জমায়েতকে ঘিরে বিমানবন্দর ও আশপাশ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন এবং আনসার সদস্যরা।
খিলক্ষেত থানা ছাত্রদলের কর্মী জিয়াউর রহমান বলেন, “জনগণের নেত্রী আজ দেশে ফিরছেন, আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। সারাদেশের মানুষ তার জন্য অপেক্ষায় আছে।”
সকাল ৯টার কিছু আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিমানবন্দরে উপস্থিত হন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ভিআইপি টার্মিনালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্রের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। আজকের দিনটি দেশের ও জনগণের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।”
বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে এবং সম্ভাব্য যানজট এড়াতে এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীদের পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দর এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

For all latest news, follow The Financial Express Google News channel.