Bangla
a year ago

মির্জা আজিজুল ইসলাম ও মসিউর রহমানকে সংবর্ধনা

— সংগৃহীত
— সংগৃহীত

Published :

Updated :

গবেষণা, অর্থনীতি, নীতিনির্ধারণ ও উন্নয়ন চিন্তায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সংবর্ধিত হলেন সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এ. বি. এম. মো. আজিজুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ দুই গুণীজনের জীবন ও কর্মের প্রতি সম্মান ও স্বীকৃতি জানাতে ‘গুণীজন সংবর্ধনা ২০২৩’ আয়োজন করে বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।

বণিক বার্তা ও বিআইডিএসের আয়োজনে এটি ষষ্ঠ ‘‌গুণীজন সংবর্ধনা’। এর আগে ২০১৪ সালে অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২০১৫ সালে ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ২০১৭ সালে অধ্যাপক রেহমান সোবহান ও ২০১৯ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান ও আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। ২০২২ সালে সংবর্ধনা দেয়া হয় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও ট্রাস্টি অধ্যাপক ড. রওনক জাহান এবং প্রয়াত অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খানকে (মরণোত্তর)।

অনুষ্ঠানে ড. মসিউর রহমানকে ক্রেস্ট তুলে দেন বিআইডিএসের চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এ. বি. এম. মো. আজিজুল ইসলাম। তার পক্ষে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুল হক।

অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি জানিয়ে এ. বি. এম. মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বণিক বার্তা এবং বিআইডিএস আমাকে সংবর্ধিত করার যে উদ্যোগ নিয়েছে এর জন্য আমি তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। সংবর্ধনা দেয়ার এ সিদ্ধান্ত উত্তরোত্তর বিনয়ের সাথে আমাকে অভিভূত করেছে।

তিনি বলেন, আমি বণিক বার্তার একজন নিয়মিত পাঠক, প্রতিদিনই বণিক বার্তা পড়ি। তাদের বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন থেকে আমি উপকৃত হই। আমার নিজের মতামতের সাথে বাণিক বার্তার প্রকাশিত মন্তব্যের অনেক ক্ষেত্রে পূর্ণ মিল থাকে। বিআইডিএসের সাথেও আমার সম্পৃক্ততা আছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে থাকাকালে বিআইডিএসের সদস্য ছিলাম। এ দু’টো প্রতিষ্ঠান আমাকে সংবর্ধিত করায় তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আজিজুল ইসলাম বলেন, স্বীকৃতি পাওয়ার সাথে সাথে দায়িত্বও কিছুটা বেড়ে যায়। দায়িত্ব পালেনর সাথে সাথে সঠিক ভূমিকা যাতে পালন করতে পারি তার জন্য সবার কাছ থেকে আশীর্বাদ চাই।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত সংকলনের বিষয়ে তিনি বলেন, বণিক বার্তা প্রকাশিত সংকলনে যারা আমার সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, আমার প্রশংসা করেছেন আমার মনে হয় আমি তার যোগ্য না। তাদের প্রতি বদান্যতা জানিয়ে বণিক বার্তা এবং বিআইডিএস নিজেদের গ্রহণযোগ্য ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান তাকে সম্মাননা জানানোর জন্য বিআইডিএস ও বণিক বার্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একই সাথে সম্মাননা পাওয়ার জন্য তার  জৈষ্ঠ সহকর্মী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এ. বি. এম. মো. আজিজুল ইসলামকেও  অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আজিজুল ইসলাম একজন যোগ্য অর্থনীতিবিদ, এবং অভিজ্ঞতাও ব্যাপক। এছাড়া  অনুষ্ঠানে তার সহকর্মী ও সতীর্থদের উপস্থিতিকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। তিনি বলেন, এই সম্মাননা  পাওয়ায় আমি আনন্দিত। আমি যাদের জ্ঞান ও সহযোগিতায় উপকৃত হয়েছি তাদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।  

গুণীজনদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, তারা দু’জন অত্যন্ত সম্মানিত এবং আমার পছেন্দের মানুষ। আজিজুল ইসলামের অনেক পরামর্শ আমাদের অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছে, তিনি বিদ্যানুরাগী মানুষ। আর ড. মশিউর রহমান একজন আদর্শ। তিনি সব সময় এমনভাবে চলতেন যে, একটা দামর্শনিক দিক রয়েছে। তিনি অনেক পড়েন। নতুন নতুন বই পড়েন। আমরা নতুন প্রজন্মকে এর জন্য আমরা পশুর পড়তে বলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রথম ব্যক্তিগত সাহকারী ছিলেন। তিনি অনেক কাছ থেকে জাতির জনকের কাছ থেকে দেখেন, কাজ করেছেন।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, আমরা একই সঙ্গে আমাদের পেশাজীবন শুরু করি। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতির অন্যতম নীতি নির্ধারক ড. মসিউর রহমান। দুই গুণীকে অভিনন্দন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মির্জা আজিজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে আমার সহকর্মী। ড. মশিউর রহমান আমার সরাসরি শিক্ষক৷ গুণীজন হিসেবে সংবর্ধনা পাওয়ায় দুজনকেই অভিনন্দন।

বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। তিনি বলেন, ম্যাক্রো ইকোনমিকস নিয়ে সুক্ষভাবে জানেন এমন মানুষের সংখ্যা দেশে খুব কম। তারমধ্যে এ. বি. এম. মো. আজিজুল ইসলাম প্রথম সারিতে থাকবেন। তিনি এর পাশাপাশি পলিসি প্র‍্যাকটিসারও। তিনি সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পরবর্তীতে শিক্ষকতা করেছেন। তার অভিজ্ঞতা ছাত্র ও অন্যান্যদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, সদ্য সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, মির্জা আজিজুল ইসলামের সহকর্মী মাসুদ আহমেদ, সাবেক অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক অর্থসচিব ড. তারেক, এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে. চৌধুরী, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. রওনক জাহান, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনুদ্দিন মোমেন প্রমুখ।

Share this news