প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিবৃতি
নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে 'প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’
Published :
Updated :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের শিক্ষা জরিপগুলোতে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। অন্যদিকে কিন্ডারগার্ডেনে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই একটি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’।
শুধু ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই-সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়’ সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে মর্মে পরিপত্র জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই সরকারি পরিপত্রের মাধ্যমে দেশের কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ (ক) অনুচ্ছেদ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন, ১৯৯০ অনুযায়ী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ নীতি কার্যকর নেই। যারা নিজেদের সন্তানদের বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তারা স্বেচ্ছায় তা করেন। এসব বিবেচনায় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।