অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন: ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জমা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য এনবিআরের
Published :
Updated :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ করে ৩৫ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
আজ সোমবার (৪ আগস্ট) থেকে ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত অর্থবছরে ৪৬ লাখ নিবন্ধিত করদাতার মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক হলে করদাতাদের সময়, খরচ এবং হয়রানি অনেকটাই কমবে।
তিনি জানান, "করদাতাদের সহায়তার জন্য আমরা হেল্পডেস্ক চালু করব, ভিডিও টিউটোরিয়াল প্রকাশ করব এবং অন্যান্য সহায়ক সেবা প্রদান করব।"
এর আগে ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে বাধ্যতামূলক ই-রিটার্ন চালুর পরিকল্পনা থাকলেও, প্রযুক্তিগত আপডেট এবং ২০২৫ অর্থ অধ্যাদেশে সংযোজিত পরিবর্তন অনুযায়ী অনলাইন রিটার্ন ফর্ম আপডেট করতে সময় লাগায় এই তারিখ পিছিয়ে ৪ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও জানান, "গাণিতিক ভুলের সম্ভাবনা কমাতে অনলাইন ফর্মে স্বয়ংক্রিয় কর গণনার সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে।"
উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রে এনবিআর শিগগিরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাবে, যাতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকিং বিধিনিষেধ শিথিল করে কর কর্তৃপক্ষ ব্যাংক গ্রাহকদের উৎসে কর সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
কয়েকজন মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বাধ্যতামূলক ই-রিটার্ন ব্যবস্থা স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি ম্যানুয়াল রিটার্ন প্রক্রিয়ায় ঘুষ বা অনিয়ম রোধে সহায়ক হবে।
তবে বর্তমান অনলাইন ব্যবস্থায় আয় ও ব্যয়ের ঘোষণা সম্পর্কিত সহায়ক কাগজপত্র সংযুক্ত করার সুযোগ নেই।
একজন জ্যেষ্ঠ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা জানান, করদাতাদের এই কাগজপত্র রিটার্ন দাখিলের পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে প্রয়োজন হলে তা যাচাইয়ের জন্য প্রদর্শন করা যায়। তিনি আরও বলেন, "সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশা করছি আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এসব সমস্যা সমাধান হবে।"
তবে অপর একজন কর কমিশনার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই উদ্যোগের সময়োপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এবং একে কিছুটা উচ্চাশী উদ্যোগ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
doulotakter11@gmail.com