অ্যামচ্যাম আয়োজিত সংলাপে আলোচিত বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতের ভবিষ্যৎ ও চ্যালেঞ্জ
Published :
Updated :
ঢাকার শেরাটন হোটেলে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) “বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত: অগ্রযাত্রার পথ” শীর্ষক সংলাপ আয়োজন করেছে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স (অ্যামচ্যাম)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি মো. মাহমুদ হাসান খান ও পরিচালক ফয়সাল সামাদ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮১.৫% আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যা জিডিপির ১১% অংশে অবদান রাখে। তবে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরতা অর্থনীতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। তিনি বৈচিত্র্যমূলক রপ্তানি বাজার এবং সক্রিয় নীতিমালা প্রণয়নের গুরুত্বে জোর দেন।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান এ. এইচ. এম. আহসান উল্লম্ব বৈচিত্র্য—নিম্নমূল্য থেকে উচ্চমূল্য পণ্যে অগ্রগতি—অবলম্বনের আহ্বান জানান। বিজিএমইএ সভাপতি বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পে চ্যালেঞ্জ এবং এফএসআরইউ সীমিততার কারণে অবকাঠামো সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি ৫৪টি এলওআই বাতিলের পুনঃআলোচনার আহ্বান জানান এবং সৌরবিদ্যুতের প্রসারকে স্বাগত জানান।
ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন আংশিক রপ্তানিকারকদের জন্য ব্যাংক-সমর্থিত বন্ড সুবিধা চালুর প্রস্তাব দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সঠিক সহযোগিতা ও খাতের বৈচিত্র্যের মাধ্যমে ২০২৭–২০২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি অর্জন করতে পারবে।
অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, নীতি সমন্বয়, স্বয়ংক্রিয়ীকরণ, সবুজ উৎপাদন, সৌরবিদ্যুৎ ও লজিস্টিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর এবং লেবার অ্যাটাশে সহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারও বক্তব্য রাখেন।
সংলাপের শেষে অ্যামচ্যামের ট্রেজারার আল-মামুন এম রাসেল ও সঞ্চালক জনাব এ. এস. এম. মঈনুদ্দিন মোনেম সকলকে ধন্যবাদ জানান।