Published :
Updated :
অনেকের কাছেই হয়তো অবিশ্বাস্য লাগবে যে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ প্রথমবার মহাবিশ্বের ছবি পাঠানোর পর এক বছর পার হয়ে গেছে। আর, এই মাইলফলক উদযাপন করতে এই টেলিস্কোপের তোলা মহাকাশের বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো ছবি প্রকাশ করেছে নাসা।
নসার প্রকাশ করা সর্বশেষ ছবিগুলোর একটিতে দেখা একটি ‘গ্যালাকটিক নার্সারি’ বা ‘তারাকুঞ্জ’ দেখা গেছে। এতে আছে এমন ৫০টি তরুণ তারা যারা হয়তো কোনো দিন তাদের নিজস্ব ‘সৌরজগত’ তৈরি করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
‘আরএইচও অফিউচি ক্লাউড কমপ্লেক্স’ নামের জায়গাটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৯০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। তবে, মহাকাশের বিশালতার সঙ্গে তুলনা করলে এটি কেবল একটি ‘ক্ষুদ্রকণার’ মতোই। আমাদের হাতে এখন যে প্রযুক্তি আছে, তাতে করে সেখানে যেতে সময় লাগবে এক কোটি ৪৫ লাখ বছর।
ছবিতে দেখানো তারাগুলোর বেশিরভাগই আমাদের সৌরজগতে থাকা সূর্যের মতো। এমনকি এতে কয়েকটি প্রাথমিক পর্যায়ের বৃত্তাকার ডিস্কও দেখা গেছে। এগুলো মূলত গ্যাস ও ধূলিকণার ঘূর্ণায়মান বলয়, যা থেকে পরবর্তীতে কোনো গ্রহেরও জন্ম হতে পারে।
ছবি দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, এতে লাল রঙের চমকপ্রদ ঘুর্ণায়মান বস্তুগুলো আসলে কী? এগুলো আসলে আণবিক হাইড্রোজেনের বিশাল বহর। আর মহাজাগতিক ধূলিকণায় কোনো তারা বিস্ফোরিত হলে এর উৎপত্তি ঘটে। তবে, মহাবিশ্বে খুব কম সময়ের জন্যেই এমন চেহারা পায় এগুলো।
“ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে তোলা ‘আরএইচও অফিউচি’র ছবি আমাদের খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য নতুনভাবে নাক্ষত্রিক জীবনচক্রের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ দেয়। এই ধাপ অনেক আগেই পাড়ি দিয়ে এসেছে আমাদের সূর্য।” --বলেন প্রকল্পটির গবেষক ক্লস পনটোপিডান।
“তবে এখন আমাদের কাছে এমন প্রযুক্তি রয়েছে, যা অন্যান্য জায়গা থেকে তারার গঠন দেখার সুবিধা দেয়।”
গোটা বছরজুড়েই একের পর এক চমক দেখিয়েছে জেমস ওয়েব। এর মধ্যে রয়েছে ‘ইনটারস্টেলার অ্যাস্টারয়েড বেল্ট’-এর প্রথম ছবি, মহাবিশ্ব সৃষ্টির স্তম্ভগুলো তুলে ধরা এক চমকপ্রদ দৃশ্য, প্রারম্ভিক মহাবিশ্বের তারাগুচ্ছ’সহ আরও অনেক কিছুই। তবে, এই টেলিস্কোপে এখনও কোনো এলিয়েন খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।