শেখ হাসিনা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে 'রেড নোটিশ' জারির অনুরোধ
Published :
Updated :
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে "রেড নোটিশ" জারির অনুরোধ জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান দুদক মুখপাত্র আখতারুল ইসলাম। দুইটি প্লট জালিয়াতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা এসব চিঠি পাঠান।
একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, “মামলার তদন্ত চলাকালে জানা যায় যে, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালত তার অবস্থান নির্ণয় ও তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে, বিজ্ঞ আদালতের আদেশ, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, অভিযোগপত্র, চার্জশিট ও পূরণকৃত রেড নোটিশ ফরম সংযুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও বিদেশে আছেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শেখ হাসিনার নামে পুবাইল নতুন শহরে তার নামে ছয়টি ১০ কাঠার (৭,২০০ বর্গফুট) প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদক তদন্ত শুরু করে। এরপর ১২ জানুয়ারি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রথম মামলা করে দুদক। পরদিন, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও তার ছেলে জয়ের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগে দু’টি মামলা করে দুদক। ছয়টি মামলাতেই শেখ হাসিনাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্য অনেক অভিযুক্তও একাধিক মামলায় আসামি। সবমিলিয়ে এসব মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ২৩ জন।
দুদকের অভিযোগ, শেখ হাসিনা ও তার পরিবার রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও, পূর্বাচল নতুন শহরের ২৭ নম্বর সেক্টরে তাদের প্রত্যেককে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই ঢাকার দুটি বিশেষ জজ আদালত অপসারিত প্রধানমন্ত্রী, তার বোন এবং তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ গঠন করেন এবং বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন।