Bangla
a month ago

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ৩ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

Published :

Updated :

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ও স্পীডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের দুই দিন পর তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ও বিকেলে পৃথক স্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। 

শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে সাবরাং জিরো পয়েন্টে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায় কলেজ ছাত্র নুর মোহাম্মদ সৈকত (২২) এর লাশ। সে টেকনাফ কলেজের ছাত্র এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা।

সকালে মৃত অবস্থায় ভেসে আসে, মৃত আজম আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (২৮) ও মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ (৩০)। তাদের মধ্যে ইসমাইল ট্রলারের যাত্রী এবং ফাহাদ স্পিডবোট নিয়ে ট্রলার ডুবে নিখোঁজদের খুঁজতে যাওয়া ব্যক্তি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের শাহপরীর দ্বীপের অদূরে বুধবার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। পরে কিছু লোক ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে তাদের উদ্ধার করতে যায়। এতে ঢেউয়ের ধাক্কায় একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। এরপর থেকে এই ঘটনায় ৩ জন নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার পৃথক স্থানে সকাল ১০টার দিকে দু'জন ও বিকেলে একজনসহ মোট তিনজনের মরদেহ ভেসে এসেছে। 

এদিকে উদ্ধার তৎপরতায় অসহযোগিতার অভিযোগে কোস্টগার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসীর সংঘাতের জের ধরে সেখানকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে রয়েছে। এখনও দ্বীপের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ঘর থেকে সাধারণ মানুষ বের হচ্ছেন না।

স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ট্রলারডুবির পর কোস্টগার্ডকে জানানো হলেও তারা উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেননি। কয়েকজন দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলার নিয়ে উদ্ধারে গেলে বাধা দেয়া হয়। এর মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরে আসলে কোস্টগার্ড সদস্যরা ছবি তোলার চেষ্টা করে। এতে দ্বীপবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে তারা কোস্টগার্ডের চৌকি ভাঙচুর করে। এসময় ফাঁকা গুলি চালায় কোস্টগার্ড। এতে গুলিবিদ্ধ হন দ্বীপের কোনাপাড়ার করিম উল্লাহর ছেলে হামিদ হোসেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে কোস্টগার্ডের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বুধবার দুপুরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়। এসময় ট্রলারের ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ একজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরেকটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটে। এসময় উদ্ধার অভিযান নিয়ে কোস্টগার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসীর সংঘর্ষ হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

[email protected]

Share this news