Published :
Updated :
সরকার রোববার (২৯ জুন) বাজেট ঘাটতি আংশিকভাবে পূরণ করতে তিন ধরনের ট্রেজারি বিল ইস্যুর মাধ্যমে একদিনেই ১১,৭৯৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।
এই ঋণের পরিমাণ নিলামের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৮০ বিলিয়ন টাকার চেয়ে অনেক বেশি। একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে বলেন, “চলতি অর্থবছরের শেষ নিলামে সরকার বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ধার করেছে।”
অন্যদিকে, ট্রেজারি বিলের সুদের হারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। বেশিরভাগ ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত তারল্য ঝুঁকিমুক্ত সিকিউরিটিজে, বিশেষ করে দীর্ঘ মেয়াদের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ছিল।
১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের কাট-অফ ইল্ড ১২ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ০০ শতাংশে, এবং ৩৬৪ দিনের ট্রেজারি বিলের ইল্ড ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ১২দশমিক ০৩ শতাংশে। তবে ৯১ দিনের ট্রেজারি বিলের ইল্ড অপরিবর্তিত রয়েছে ১২ দশমিক ০৯ শতাংশে।
একজন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা পূর্বাভাস দিয়েছেন, টি-বিলের সুদের হারের এই প্রবণতা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে বলেন, বিদ্যমান অর্থবছরের শেষের দিকে বাজেট ব্যয়ের চাপ বাড়ায় সরকারের তহবিলের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। তিনি জানান, বাজেট ঘাটতি মেটাতে প্রতি অর্থবছরের শেষ মাস জুনে সরকারের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া সাধারণত বেড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, সরকারের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ওয়েজ-অ্যান্ড-মিনস অ্যাডভান্স ও ওভারড্রাফট সুবিধার মাধ্যমে নেওয়া ঋণ নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে।
বর্তমানে সরকার দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহে কোনো সিকিউরিটি ইস্যু ছাড়াই ওয়েজ-অ্যান্ড-মিনস অ্যাডভান্স এর আওতায় সর্বোচ্চ ১২,০০০ কোটি টাকা এবং ওভারড্রাফট সুবিধার আওতায় আরও ১২,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে।