Published :
Updated :
আজ ২২ শ্রাবণ, মহাকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণবার্ষিকী। বাংলা সাহিত্য, সংগীত, দর্শন ও চেতনায় যিনি চিরভাসমান, সেই বিশ্বকবিকে আজ গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছে বাঙালি জাতি।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দেরএই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর পৈতৃক বাড়িতে জীবনাবসান হয় বিশ্বকবির।
১৮৬১ সালের ৭ মে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্ম নেওয়া রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একাধারে কবি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, গীতিকার, সুরকার, দার্শনিক ও চিত্রশিল্পী। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি এক অদ্বিতীয় প্রতিভা, যিনি সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় রেখে গেছেন অমর কীর্তি।
তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন — প্রথম এশীয় হিসেবে এই বিরল সম্মান অর্জন করেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’ তাকে এনে দেয় বিশ্বজোড়া খ্যাতি।
রবীন্দ্রনাথ শুধু সাহিত্যিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সমাজচিন্তক, শিক্ষানুরাগী ও মানবতাবাদী। শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিশ্বভারতী’, যেখানে শিক্ষাকে দেওয়া হয়েছিল মুক্ত ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গির রূপ। তিনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সৌন্দর্য ও সত্যের সন্ধান করেছেন—সেটা হোক প্রেমের কবিতায়, প্রকৃতি-চিত্রণে কিংবা দেশপ্রেমের গান রচনায়।
জীবদ্দশায় তিনি রেখে গেছেন ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ, ৯৫টি ছোটগল্প, ১৯১৫টি গান এবং ২০০০ চিত্রকর্ম।
বিশ্বকবির প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছায়ানট। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এই আয়োজন শুরু হবে।