Published :
Updated :
চলতি বছরে হজ করতে ইচ্ছুকদের নিবন্ধনে সুযোগ দিতে আগামী ২৫ এপ্রিল একদিনের জন্য ‘সার্ভার’ খুলে দেবে সরকার।
ওই দিনটিতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করা যাবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
‘হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের’ (হাব) অনুরোধে মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ গত ১৬ এপ্রিল হাবের বিশেষ অনুরোধে সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধন সার্ভার আগামী ২৫ এপ্রিল এক দিনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
"নিবন্ধনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক উন্মুক্ত রয়েছে এবং উভয় ব্যবস্থাপনায় নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করে হজে যাওয়ার সুযোগ আছে।"
কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যাংকগুলোকে অফিস সময়ের পরেও প্রস্তুত করা ভাউচারের অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
হজের নিবন্ধন কার্যকম শেষ হয় গত ১১ এপ্রিল, যে কাজটি শুরু হয়েছিল গত ৮ ফেব্রুয়ারি। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার পরিস্থিতিতে এবার হজ প্যাকেজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় বারবার সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ যাচ্ছিল না।
তাই নিবন্ধনের জন্য দুই মাসের মধ্যে মোট আট দফা সময় বাড়ায় সরকার। কিন্তু তাতেও হজে বাংলাদেশিদের জন্য সৌদি আরবের নির্ধারিত কোটা এবারে পূরণ হয়নি। নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হওয়ার ১৪ দিন পর ফের সুযোগ দিচ্ছে সরকার।
নিবন্ধন করেছেন কতজন?
সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সব মিলিয়ে এবার নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। সে হিসেবে কোটার চেয়ে ৭ হাজার ৫০৩ জন কম হজযাত্রী মিলেছে এবার।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন ১০ হাজার ৩৫ জন; যদিও নিবন্ধনের সুযোগ আছে ১৫ হাজারের, এখানে ঘাটতি ৪ হাজার ৯৬৫ জনের।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন হজে যাচ্ছেন; এক্ষেত্রেও নিবন্ধনের সুযোগ আছে ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের; বেসরকারিতেও আড়াইহাজের মত ঘাটতি রয়ে গেছে।