বৈষম্যহীন সমাজের ভিশন অনুপস্থিত, কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিরোধিতা: এনসিপি'র বাজেট প্রতিক্রিয়া
Published :
Updated :
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত বাজেট বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্য বা স্পষ্ট কোনো রূপান্তর কৌশল তুলে ধরেনি।
আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো অ্যাড্রেস করতে পেরেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এর সঠিক সমাধান-কৌশল কিংবা বৈষম্যহীন সমাজের ভিশন এই বাজেটের মধ্য দিয়ে আসেনি।"
তিনি আরও বলেন, "মানুষের আকাঙ্ক্ষা ছিল, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া নতুন বাংলাদেশে ধনী-গরিবের আয়বৈষম্য কমে আসবে।" বাজেটে এর কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, কর ফাঁকি দেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ওপর করের চাপ থেকেই যাচ্ছে। নিত্যপণ্যে কিছু কর কমলেও এই শ্রেণির ওপর চাপ কমবে না।
বেকার সমস্যা নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, কর্মসংস্থানের আন্দোলন থেকেই কিন্তু এই গণ–অভ্যুত্থানের সূত্রপাত। কিন্তু সেটি বাজেটে দেখা যাচ্ছে না।
গত এক বছরে ২৬ লাখ নতুন বেকার যুক্ত হয়েছে, কিন্তু কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের কৌশল বাজেটে নেই বলে দাবি করেন তিনি।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতে বাজেটে তেমন নতুন কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অর্ধেকে নামিয়ে আনার সমালোচনা করেন নাহিদ ইসলাম।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা না থাকায় হতাশাও প্রকাশ করেন তিনি।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিরোধিতা করেছে এনসিপি।
তবে তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, "তাদের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই পূরণ করা হয়।"