Published :
Updated :
সোমবার (২৬ মে) দেশের শেয়ারবাজারে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। নির্বাচিত কিছু বড় মূলধনী শেয়ারে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাজার সূচকগুলো নিম্নমুখী হয়ে পড়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭১৯ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে নেমে আসে।
৩০টি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক, ৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৪১ দশমিক ৯২ পয়েন্টে। অন্যদিকে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানির সূচক ডিএসইএস শূণ্য দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৩ দশমিক ৩২ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
লেনদেনের শুরুর এক ঘণ্টায় বাজার কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখালেও, পরে তা আবার নিম্নমুখী ধারায় ফিরে যায়। বাজারে চলমান অনিশ্চয়তা ও নেতিবাচক মনোভাবের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্কতা বিরাজ করেছে। ইবিএল সিকিউরিটিজ জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়া নীতির কারণে কিছু ব্যাংকের শেয়ারে লভ্যাংশ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তার ফলে সংশোধন দেখা যায়।
লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৪৮টির দাম বেড়েছে, ১৬৮টির দাম কমেছে এবং ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারে, যার মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকারও বেশি। এরপর লেনদেনে ছিল বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড ও মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) দিন শেষে পতনে শেষ করে। এর সার্বিক মূল্য সূচক (সিএএসপিআই) ৫২ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ২৬৭ এবং নির্বাচিত ক্যাটাগরি সূচক (সিএসসিএক্স) ৩৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ১০৫ পয়েন্টে।
চট্টগ্রামের এই বাজারে মোট ৪৬ দশমিক ৭ লাখ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়, যার মোট মূল্য ছিল ১১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।