গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঘোষিত হলো রাষ্ট্র ও সমাজ পুনর্গঠনের রূপরেখা
Published :
Updated :
চব্বিশের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির অঙ্গীকার রেখে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২৮ দফা নিয়ে গঠিত এই ঘোষণাপত্রে দেশজুড়ে চলমান রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও সামাজিক সংকটের পটভূমি তুলে ধরে ভবিষ্যতের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘোষণায় ২০২৪ সালের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি, গুম-খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের স্বীকৃতি প্রদানের কথা বলা হয়।
ঘোষণাপত্রে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থান এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধের কথা স্মরণ করা হয়। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, গুম-খুন, নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগসমূহের বর্ণনা এবং তা তদন্ত ও বিচারের অঙ্গীকার করা হয়েছে।
এছাড়া সংবিধানের কাঠামোগত সংস্কার, সুষ্ঠু নির্বাচন, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রতিশ্রুতি উঠে এসেছে। ঘোষণা অনুযায়ী, এই ঘোষণাপত্র পরবর্তী নির্বাচনে গঠিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে সংযুক্ত থাকবে।
ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, ৫ আগস্ট ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করে এবং ওই দিনকে ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।