Bangla
3 days ago

গণতন্ত্রে ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

Published :

Updated :

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো পথে বিশ্বাস করে না।

আজ বুধবার (৬ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত জুলাই ও নির্বাচনী ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানাতে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা হতাশাবাদী তারা সব সময় হতাশই থাকে। বিএনপি আশা করে, সংশ্লিষ্ট মহল গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে পরিষ্কার করবে।

তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস এখন পর্যন্ত যেভাবে দায়িত্বশীলতা ও সততার সঙ্গে কাজ করেছেন, তাতে আশা করা যায় তিনি কোনো পক্ষপাতদুষ্ট কাজ করবেন না এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ এক ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জীবন দিয়েছে, গুম-খুন-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই সময়ে তিনটি জাতীয় নির্বাচন প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ করেছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, অর্থনীতিকে দুর্নীতির জালে ফেলে ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থ পাচার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের দখলদারি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ও মাফিয়া সিন্ডিকেটের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। বিএনপি এই স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শুরু থেকেই প্রতিবাদ করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজা দিয়ে ৬ বছর কারাগারে রাখা হয় এবং ৫ আগস্ট তিনি মুক্তি পান।

তিনি বলেন, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন নেতাকর্মীরা। সেই গণআন্দোলন ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূত অভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়।

তিনি জানান, এই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট “জুলাই ঘোষণাপত্র” প্রকাশ করা হয়।

বিএনপি এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এতে যে রাজনৈতিক অঙ্গীকারগুলো করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হবে।

সংগ্রামে অংশ নেওয়া ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক, পঙ্গু ও শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের জন্য তারাই সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে।

Share this news