Bangla
2 years ago

গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত জাহাজ থেকে পাইপলাইনে পরীক্ষামূলক জ্বালানি তেল খালাস শুরু

Published :

Updated :

সাগর থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালানি তেল খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজারের মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত তেলবাহী জাহাজ ‘এমটি হোরে’ থেকে তেল খালাস শুরু হয়।

গভীর সমুদ্রে স্থাপিত ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ (বিশেষায়িত বয়া) ব্যবহার করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেলবাহী জাহাজটি থেকে তেল খালাস করা হচ্ছে।

পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।

প্রকল্পের পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারির মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. শরিফ হাসনাত বলেন, “সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) ব্যবহার করে জাহাজ থেকে তেল পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রথমে মহেশখালীর কালারমারছড়ায় ট্যাংক ফার্মে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

“পরে সেখান থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে যাওয়া হবে।”

পরীক্ষামূলক কমিশনিংয়ের জন্য সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার টন ক্রুড অয়েল নিয়ে গত ২৪ জুন আসে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমটি হোরা’।

পরদিন পরীক্ষামূলক কমিশনিং শুরুর কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে বড় জাহাজ থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহ শুরু করা যায়নি। সোমবার এসপিএম এর মাধ্যমে জাহাজটি থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। 

ইআরএল কর্মকর্তা শরিফ হাসনাত বলেন, “দুই দিনের মধ্যে জাহাজটি থেকে তেল খালাস সম্পন্ন হবে। আগে যেখানে গভীর সমুদ্র থেকে লাইটারেজে করে রিফাইনারিতে অপরিশোধিত তেল আনতে ১০ থেকে ১১ দিন সময় লাগত, সেখানে এ প্রক্রিয়ায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তেল আনা যাবে।”

মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজ থেকে তেল খালাসের জন্য এসপিএম স্থাপন করা হয়েছে।

সেখানে ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের দুটি পাইপলাইনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে তেল সরবরাহ করা হবে। একটিতে ক্রুড অয়েল, অপরটি দিয়ে ডিজেল সরবরাহ হবে। এই জ্বালানি প্রথমে ১৬ কিলোমিটার পাইপের মাধ্যমে কালারমারছড়ায় স্থাপিত ‘স্টেশন অ্যান্ড ট্যাংক ফার্মে’ যাবে।

পরে ৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল যাবে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূল, সেখান থেকে ৩৬ কিলোমিটার পাইপলাইনে তেল পৌঁছবে ইআরএলে।

পাইপ লাইনের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র থেকে তেল সরবরাহের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হলেও জুলাই বা অগাস্টের যে কোন সময়ে প্রধানমন্ত্রী এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন।

Share this news