Bangla
2 years ago

জয় নিয়ে কোনো সংশয় নেই আরাফাতের, চিন্তা শুধু ভোটার উপস্থিতি নিয়ে

Published :

Updated :

ঢাকা-১৭ উপ নির্বাচনে জয় নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহম্মদ আলী আরাফাতের কোনো ‘সংশয় নেই’, তার চিন্তা শুধু কতভাগ ভোটার কেন্দ্রে যাবেন, তা নিয়ে।

সোমবার বেলা ১১টায় গুলশান মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে নৌকার প্রতীকের এ প্রার্থী বলেন, “জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। আমরা শুধু বলছি, ভোট দেন। আমরা বলছি না যে নৌকায় ভোট দেন। কারণ আমরা জানি, মানুষ নৌকায় ভোট দেবে। আমাদের চেষ্টা ছিল মানুষকে ভোট দিতে নিয়ে আসা।”

সোমবার সকাল ৮টায় এ আসনের ১২৪টি কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়েছে। সোয়া তিন লাখ ভোটারের এ আসনে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

দিনের প্রথম ভাগে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে একেবারেই কম। অনেক কেন্দ্রে দেখা গেছে ভোটারের চেয়ে সাংবাদিকের সংখ্যা বেশি।

আরাফাত বলেন, “আমার ক্যাম্পেইনের একটা বড় স্লোগান ছিল, ভোট দিতে আসেন। আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, মানুষকে ভোট দিতে আনা। কারণ, মাত্র ৫-৬ মাসের নির্বাচন। একটা অনীহা থাকে।”

“আরেকটা অনীহা হল, নৌকার এত ভোট, যে সবাই ব্যক্তিজীবনে ভাবে যে আমি ভোট না দিলে কি আর হবে, কেউ না কেউ তো দেবেই। নৌকা জিতে যাবে। এটা একটা ভয়ঙ্কর চিন্তা। তবে এটা আমাদের জন্য খুব ভালো যে সমাজে নৌকার এত জনপ্রিয়তা। কিন্তু এই চিন্তাটা ভোটের ব্যালটে আনতে গেলে অনেকসময় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।”

অনেক কেন্দ্রে নৌকা ছাড়া অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট নেই বলে অভিযোগ আসছে। এ বিষয়ে প্রার্থীদের সামর্থ্যের কথা বলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

তিনি বলেন, “১২৪ টি কেন্দ্র আছে। বুথ আছে অন্তত ৬০০। ৬০০ এজেন্ট তো লাগবে। সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে পারে না। আওয়ামী লীগের সেই সাংগঠনিক শক্তি আছে। আওয়ামী লীগের যারা কর্মী, তাদের আত্মীয়-স্বজনরা ভোট দিলেও তো ২০-২৫ হাজার ভোট পড়ে যাবে।”

জয়ের আত্মবিশ্বাস জানিয়ে আরাফাত বলেন, “আমি বাই চান্স জিতব না। আমি জিতলে বাই দ্য ফোর্স অব দ্য পিপল জিতব… কত শতাংশ পড়বে, তা জানি না। আমাদের চেষ্টা হল গত নির্বাচনের চেয়ে টার্ন আউটটা বাড়ানো।”

চিত্রনায়ক ফারুকের (আকবর খান পাঠান) মৃত্যুতে এই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। এতে বিজয়ী মাস পাঁচেকের জন্য সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেননা তার মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।

আরাফত বলছেন, পাঁচ মাস অনেক অল্প সময়, তবে পাঁচ মাসে অনেক কিছু শুরু করা যায়।

“আমি যে যে এলাকায় গেছি, সেখানের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। পাঁচ মাস পরে তো জাতীয় নির্বাচন আছে। আমি যদি মনোনয়ন পাই এবং জিতি, চেষ্টা করব সমস্যাগুলোর সমাধান করার।”

ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, গুলশান এলাকা নিয়ে গঠিত রাজধানীর এই আসনের উপ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিলেও বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই নেই। ফলে সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই ভোট নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তেমন সাড়াও চোখে পড়েনি।

এ আসনে আরাফাতসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন আটজন। বাকিরা হলেন– জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙ্গল), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল), তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন (ডাব) এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন (ছড়ি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম হিরো আলম (একতারা) এবং মো. তারেকুল ইসলাম ভূঞা (ট্রাক)।

Share this news