Published :
Updated :
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। শুক্রবার (২৭ জুন) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, খামেনি যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগিয়ে যান, তবে তিনি আবারও বোমা হামলার নির্দেশ দেবেন।
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, খামেনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে জয় ও যুক্তরাষ্ট্রকে চপেটাঘাত করার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা এক ধরনের অকৃতজ্ঞতা।
তিনি বলেন, “আমি জানতাম খামেনি কোথায় ছিলেন, চাইলে তাকে হত্যা করা যেত, কিন্তু আমি তা করিনি।” তিনি আরও দাবি করেন, খামেনিকে ‘ভয়াবহ মৃত্যু’ থেকে রক্ষা করলেও তার কাছ থেকে ধন্যবাদ পর্যন্ত পাননি।
ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের চিন্তা করছিলেন, কিন্তু তেহরান থেকে ‘রাগ ও ঘৃণার’ বার্তা পাওয়ায় সেই পরিকল্পনা বন্ধ করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে ইরানকে আবারও আলোচনায় ফিরতে বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ইরান যদি আবার পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যায়, তাহলে ‘নিঃসন্দেহে’ আরও হামলার মুখোমুখি হবে। তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও জানান, যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘বিস্তৃত শান্তিচুক্তি’র জন্য কাজ করছে।
এরইমধ্যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরু করার কোনো পরিকল্পনা নেই। খামেনি-ও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত করছে এবং ইরান কখনও তাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।
এই বাকযুদ্ধ এমন সময় চলছে, যখন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতি কার্যকর রয়েছে। যুদ্ধ শেষে দেওয়া এক ভাষণে খামেনি বলেন, ইরান বিজয় অর্জন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চড়’ মারা হয়েছে।