Published :
Updated :
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ শনিবার পালিত হচ্ছে 'মার্চ ফর গাজা'। এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে লোকজন জমায়েত হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলে দলে মিছিল নিয়ে মিলিত হচ্ছেন। মিছিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশের হাতে দেখা যায় ফিলিস্তিনের পতাকা ও বিভিন্ন স্লোগান ও ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। কারো কারো হাতে দেখা যাচ্ছে কালিমা-সম্বলিত পতাকা। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে রয়েছে চারিদিক। 'নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর', ‘সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ আল জিহাদ’ 'ইসরায়েলের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও', 'নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে' -সহ নানা স্লোগানে সরব হয়ে আছে উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে রাজধানীর আফতারনগর থেকে মিছিল নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও ফিলিস্তিনের সমর্থনে ঐতিহাসিক গণজমায়েতে অংশ নিয়েছেন। ব্র্যাক, নর্থ-সাউথ, ইমপেরিয়াল, ইস্ট-ওয়েস্ট, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে মিছিল নিয়ে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে এসেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
জুলাইয়ের আহতদের অনেকে এসে যোগ দিয়েছেন এই মানবিক আন্দোলনে।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইতিহাস সৃষ্টি করে করে শুধু ফিলিস্তিনের জন্য এক মঞ্চে এক হচ্ছেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। রয়েছেন শিল্পী, কবি, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ।
এদিন সকাল থেকেই বাংলামোটর, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও মৎস্য ভবন এলাকা জুড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই নিরাপত্তা মোতায়েন জোরদার করা হচ্ছে।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইতিহাস সৃষ্টি করে করে শুধু ফিলিস্তিনের জন্য এক মঞ্চে এক হচ্ছেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া শিল্পী, কবি, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ।
'ফিলিস্তিন সংহতি আন্দোলন বাংলাদেশ' এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। বিকেল ২টার দিকে পাঁচটি পৃথক স্থান থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিলিত হবে। এই কর্মসূচি চলবে মাগরিবের আগ পর্যন্ত। আয়োজকদের আশা, এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেবেন।