মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতি আশ্বাস সিইসির
Published :
Updated :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন এবং মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কোনো দোষারোপ যাতে করা না হয়, সেজন্য আগে থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি রাখা হবে।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সিইসির রুমে বৈঠক করেন। তবে সিইসি ছাড়া নির্বাচন কমিশনের অন্য কোনো সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠক শেষে সিইসি এবং রাষ্ট্রদূত আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সিইসি জানান, মার্কিন দূত প্রস্তুতি বুঝতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, এটি একটি বিশেষ পরিস্থিতি এবং বিশেষ ধরনের সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন এবং রমজানের আগে ভোটের কথা জানিয়েছিলেন, তাই আমরা প্রস্তুতি জোরদার করেছি। যদিও বিভিন্ন টানাপোড়েনের কারণে সময় ঠিক করতে দেরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দোষ আমাদের ওপর আনা যাবে না বলে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছি। নির্বাচন দলের সদস্যরাও দেশের স্বার্থে কাজ করছেন এবং আশা করি শেষ পর্যন্ত সবাই একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে। প্রধান উপদেষ্টা ইতিমধ্যে বৈঠক শুরু করেছেন এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মোবাইল কালচার নিয়ে সিইসি বলেন, ভোট এখনও অনেক দূরে এবং যারা গুজব সৃষ্টি করে তারা ভোটের সময় এলাকায় থাকবে না। তিনি বলেন, দেশটি গুজবের সমস্যায় ভুগছে, তাই গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়া পুরো নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা কমিশনের হাতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরকারি লোকবল নিয়ে তিনি বলেন, ভোটের দায়িত্বে ৯৫ শতাংশ সরকারি কর্মী এবং ৫ শতাংশ নির্বাচন কমিশনের কর্মী থাকে। সরকার যদি এই লোকবল দিয়ে ফলাফল নিজের পক্ষে নিয়ে আসে, তবে তা সমস্যা, কিন্তু যদি জনগণের পক্ষে আসে, তবে সেটি সৎ উদ্দেশ্য। অতীতে এই ব্যবস্থার অপব্যবহার হয়েছে, যার সঙ্গে মার্কিন দূত একমত হয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সরকারের সহযোগিতা অপরিহার্য, কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাজেট সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তবে কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং সরকার থেকে কোনো হস্তক্ষেপ হয়নি।