Published :
Updated :
সুন্দরী তরুণীদের ব্যবহার করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমের সহযোগী ও সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক দেওয়ান সমিরের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে, আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগেও গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় দেওয়ান সমিরের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমির এবং অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে, অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে এবং পরে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতো।
দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। তার আগে তিনি মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড পরিচালনা করতেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি তার প্রতিষ্ঠানগুলোর লাভ বাড়াতে পরিকল্পিতভাবে স্মার্ট তরুণীদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিতেন, যাতে তারা সহজেই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যেতে পারে। এরপর তাদের সহযোগিতায় বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হতো।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০-এর বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গত ১০ এপ্রিল গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ১৭ এপ্রিল তাকে আবার আদালতে হাজির করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।