Published :
Updated :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিনিয়োগ নিয়ে দেশে এক ধরনের ‘সার্কাস’ চলছে, যা সত্যিই দুঃখজনক। তিনি বলেন, এ কথাগুলো বলা কঠিন হলেও বাস্তব হচ্ছে — যারা বিনিয়োগ সম্পর্কে জানে, তারা বোঝে যে এভাবে ‘সার্কাস’ করে বিনিয়োগ সম্ভব নয়।
আজ শুক্রবার (৯ মে) চট্টগ্রাম নগরের কাজির দেউড়ির এক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু আরও বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে আগে একটি নির্বাচিত ও স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে হবে। কারণ বিনিয়োগকারীরা সরকারের মনোভাব, জবাবদিহিতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিবেচনা করেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অনির্বাচিত সরকারের অধীনে বিনিয়োগ হবে না — না দেশি, না বিদেশি।
চাকরির সুযোগ বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বিনিয়োগ। বিনিয়োগ ছাড়া আত্মকর্মসংস্থান সম্ভব, না শিল্পায়ন।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তবাজার অর্থনীতির ভিত্তি রেখেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপি ‘সবার জন্য অর্থনীতি’ এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নীতিতে বিশ্বাস করে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এগুলো অপরিহার্য।
আমীর খসরু জানান, আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে বিনিয়োগবান্ধব নীতি প্রণয়ন করা হবে। এ বিষয়ে দলের ঘোষিত অঙ্গীকার রয়েছে — ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যেই ৩১ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার শেষে বিনিয়োগকারীদের একটাই প্রশ্ন ছিল — বাংলাদেশে নির্বাচন কবে হবে?
এ সময় সেমিনারে উপস্থিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এই সময়ে সরকার গঠনের সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা বিএনপির। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিশন এবং সাম্প্রতিক বক্তব্যকে সামনে রেখে তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীর বাংলাদেশে একটি উন্নত, দক্ষ ও তরুণ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে।