Published :
Updated :
নভেম্বরে ৪৭তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি হতে যাচ্ছে এবং পরীক্ষার্থীদের কোটায়ও পরিবর্তন আসতে পারে। সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে ৯৩% নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে হবে, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫% এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১% করে কোটা থাকবে।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করলেও, ৩১ অক্টোবর নতুন সিদ্ধান্তে পরীক্ষার্থীরা চারবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে জানানো হয়। তবে কোটা প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।
সরকারি কর্ম কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এস. এম. মতিউর রহমান জানিয়েছেন, ৩,৪৬০টি পদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। আগের কোটা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সাত শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে, তবে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ।
নতুন করে কোটা বণ্টনের নির্দেশনা আসবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব এবং বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বিবিসি বাংলাকে জানান, "এখন পর্যন্ত নতুন করে কিছু চিন্তা করা হয়নি।"
আন্দোলন পরবর্তী সময়ে কোটার পরিমাণ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আরিফ সোহেল। তিনি বলেন, "আমাদের দাবি পাঁচ শতাংশ, তবে কমিশন দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে একটি সাম্যমূলক ব্যবস্থা তৈরি করবে।"
পুনরায় আন্দোলনের প্রয়োজন হবে না এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।