Bangla
8 days ago

পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

Published :

Updated :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে বর্জ্যের পরিমাণ কমানো, বর্জ্য সংগ্রাহকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি এবং আন্তর্জাতিক সহায়তায় আধুনিক ল্যান্ডফিল ব্যবস্থাপনা চালু করা জরুরি। এজন্য উন্নত বর্জ্য শ্রেণিবিন্যাস, পুনর্ব্যবহার ও উপকরণ পুনরুদ্ধার পদ্ধতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।

আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল মহানগরের সুদোকওয়ান ল্যান্ডফিল ম্যানেজমেন্ট কর্পোরেশনের (এসএলসি) একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপনে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের দুটি পুরনো ডাম্পিং সাইট বন্ধ ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি একটি নতুন আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপনের বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরে। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুদান এবং সহজ শর্তে ঋণের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয়।

প্রতিনিধিরা জানান, দুটি ডাম্পিং সাইট বন্ধ করতে ১ থেকে ১.৫ বছর সময় লাগবে এবং এর পরে ২০ বছর মেয়াদি নজরদারি চালানো হবে। ভূমির স্থিতিশীলতা বিবেচনায় প্রথম ৫ বছর পর এগুলোকে জনসাধারণের জন্য পার্ক হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা যেতে পারে।

তারা বর্জ্য সংগ্রাহকদের এই নতুন ব্যবস্থার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দেন, যাতে তাদের জীবনমান ও কাজের পরিবেশ উন্নত হয় এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান পুনরুদ্ধারে দক্ষতা বাড়ে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত আনুষ্ঠানিক অনুরোধপত্র ও প্রকল্প সংক্রান্ত দলিলাদি পাঠানোর আহ্বান জানায়, যাতে আর্থিক সহায়তা কার্যকরভাবে শুরু করা যায়। তারা বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও বৃহৎ সুদোকওয়ান ল্যান্ডফিলের অভিজ্ঞতা ও মডেল বাংলাদেশে ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করে।

এসএলসির প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্মুক্ত ডাম্পিং সাইটগুলো বন্ধ করে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর একটি প্রকল্পও তারা প্রস্তাব করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. রেজাউল করিম, এসএলসির পরিচালক সিওক ওউ জংসহ দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

বৈঠকের শেষাংশে দুই দেশ বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে। 

Share this news