পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫: কঠোর শর্তে নিবন্ধন নবায়ন করবে নির্বাচন কমিশন
Published :
Updated :
নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫ চূড়ান্ত করেছে। সংশোধিত এই নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব সংস্থা অতীতে ভুয়া বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দিয়েছে কিংবা নিবন্ধন থাকা সত্ত্বেও কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অংশ নেয়নি, তাদের নিবন্ধন নবায়ন করবে না কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করা হবে। এই নীতিমালা কার্যকর হলে ২০২৩ সালের নীতিমালা বাতিল হয়ে যাবে এবং আগের অনেক সংস্থার নিবন্ধনও বাতিল হতে পারে।
সংশোধিত নীতিমালায় পর্যবেক্ষকদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ানো হয়েছে। আগে এসএসসি বা সমমান থাকলেই চলত, এখন এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে। অন্যান্য যোগ্যতা অপরিবর্তিত থাকছে।
নতুন নীতিমালায় নিবন্ধন সংক্রান্ত একটি নতুন ধারা (৪.৬) যুক্ত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—যেসব সংস্থা পূর্বে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিবেদন দিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে নিবন্ধনের জন্য বিবেচিত হবে না। পাশাপাশি, যেসব সংস্থা নিবন্ধন পাওয়ার পর অন্তত একটি জাতীয় ও চারটি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেনি, তাদের নিবন্ধন আর নবায়ন করা হবে না।
ইসি কর্মকর্তারা মনে করছেন, নতুন নীতিমালার ফলে অনেক সংস্থার জন্য নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ কমে যাবে, এমনকি অনেকের বিদ্যমান নিবন্ধনও বাতিল হতে পারে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, “কিছু সংস্থার নিবন্ধন তো বাতিল হবেই। এমনকি সবগুলোই বাতিল হতে পারে যদি কমিশন তা মনে করে।”
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে ৯৬টি। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসি নতুনভাবে পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে। এতে করে অনেক সংস্থার পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যেতে পারে।