Published :
Updated :
সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলায় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হওার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে এই আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইউএনবি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের মহানগরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিং ফুটসাল স্পোর্টস সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী তিন শিক্ষার্থীর দাবি, নয়াবাজারের কিং ফুটসাল স্পোর্টস সেন্টারে কলেজ আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’ চলছিল। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও অতিরিক্ত কয়েক মিনিট মাঠ ব্যবহার করার জেরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। একসময় ছাত্রলীগের আশ্রয়ে থাকা জায়গীরদার আল মামুন ওরফে বুলেট মামুনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক এই হামলা চালান।
অন্যদিকে, পুলিশ বলছে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একদল শিক্ষার্থী এক ঘণ্টার জন্য ফুটসাল মাঠ ভাড়া নিয়ে খেলা শুরু করেন। তবে নির্ধারিত সময় শেষে তারা আরও দেড় ঘণ্টা অতিরিক্ত মাঠ দখলে রেখে খেলা অব্যাহত রাখেন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ের জন্য ভেন্যু বুকিং করা অন্য খেলোয়াড়রা মাঠে প্রবেশ করে আপত্তি জানান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। পরে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
এ সময় সেন্টারের অফিস কক্ষও ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটান পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণেই আমাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকেই ছাত্ররা জানতে পেরেছে যে হামলাটি হয়েছে ওই মামুনের নেতৃত্বে এবং এরা একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
আহত ১১ শিক্ষার্থীকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে।
শিক্ষার্থী ও কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে আটক একজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তারা অভিযোগ দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।
তিনি জানান, অভিযুক্ত মামুনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ছাত্রলীগের পদ-পদবি তার নেই, তবে তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। পুলিশ তাকে আটক করতে বালুচর এলাকায় বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছে।