Published :
Updated :
সরকারকে সয়াবিন তেলের বাজারে সক্রিয় সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব)। সংগঠনটি বলেছে, "সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে ভোজ্যতেলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।"
আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেওয়া এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় ক্যাব।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্ট থেকে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠা একটি পুরোনো সিন্ডিকেট বর্তমানে সয়াবিন তেলের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে এবং সেইসঙ্গে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মোটা অঙ্কের লাভ করছে বলে অভিযোগ করে ক্যাব।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়ের মতো নীতিগত সহায়তা দিলেও, কিছু প্রভাবশালী কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে তেলের সরবরাহ কমিয়ে বাজার অস্থির করে তুলেছে।
এর আগে সরকার ১৪ এপ্রিল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা মূল্যবৃদ্ধির অনুমোদন দিলেও, ওই সিন্ডিকেট এখন আরও ৭ টাকা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
ক্যাব জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ২০২২ সালে প্রতি টন ১ হাজার ৬৬৭ মার্কিন ডলার থেকে ২০২৪ সালে ১ হাজার ২২ ডলারে নেমে আসলেও দেশে দাম বেড়েই চলেছে।
বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেল খুচরা বাজারে প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১১ টাকা বেশি।
ক্যাব চার থেকে পাঁচটি বড় কোম্পানিকে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “তারা এখনও আগের মতোই বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। যদি সিন্ডিকেট ভাঙা না হয় এবং বাজারে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত না করা যায়, তবে সংকট আরও প্রকট হবে।”
ক্যাব সরকারকে সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে, বাজার মনিটরিং জোরদার করতে এবং নীতিগত সহায়তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
তারা এ-ও অভিযোগ করে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর এনবিআর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলেও ব্যবসায়ীরা সরবরাহ বাড়ায়নি, যা খুবই দুঃখজনক।